নিহত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া। |
নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার নিহত হওয়ার পর, নির্বাচন কমিশন রায়পুরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে। এ তথ্যের প্রমাণ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের উপসচিব আতিয়ার রহমানের সংশ্লিষ্ট চিঠিতে উল্লিখিত হয়েছে। আগের দিনে মীরেরকান্দি গ্রামে সুমনের উপর হামলা হয়েছিল যা নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ তার নিহতির পর নির্বাচন স্থগিত করেছেন। সুমন মিয়া ছিলেন রায়পুরা উপজেলা পরিষদের একজন উপাধ্যক্ষ এবং একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে উল্লিখিত হয়েছে যে, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন যে দিন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে ছিল, তার আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনার কারণে সকল পদের নির্বাচনের স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে রায়পুরার উপজেলা নির্বাচন স্থগিত-সংক্রান্ত চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এই চিঠিতে তাদের প্রতি নির্বাচন কমিশনের সন্দেশ ও নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, তাদের কাছে নির্বাচন স্থগিত হওয়া সম্পর্কে প্রাপ্তির সময় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য পাঁচটি এবং তিনটি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ (টেলিফোন), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলী আহমেদ (কাপ-পিরিচ), এবং পাড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌস কামাল (আনারস)। অন্য দুজনের নাম ছিলো মোহাম্মদ পনির হোসেন (মোটরসাইকেল) ও সোলায়মান খন্দকার (দোয়াত-কলম)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য তিনটি প্রার্থী ছিলেন: আবিদ হাসান রুবেল (চশমা), সুমন মিয়া (তালা) ও মো. মারফত আলী (টিয়া পাখি)।
নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম প্রথম আলোকে প্রকাশ করেছেন যে, নির্বাচন কমিশনের চিঠি তাঁর কাছে আগেই উপস্থিত হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, নির্বাচনী প্রার্থী, হামলা, নিহত, রায়পুরা, নরসিংদী।
0 Comments