শিরোনাম

1

যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার ১০জন হত্যা মামলার আসামী।

হবিগঞ্জের লাখাই এলাকায় চাঞ্চল্যকর রুকন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী সাজু মিয়াসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে । র‌্যাব-১০-এর একটি দল গোপন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।


গ্রেফতার-যাত্রাবাড়ী-হত্যা-মামলা-আসামী




র‌্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার স্বজনগ্রাম এলাকায় বসবাসকারী সাজু মিয়ার (৫০) নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করা হয়। ওই লাঠিয়াল বাহিনী সংঘবদ্ধভাবে লাখাই থানার বিভিন্ন এলাকায় মারামারি, ভূমি দখল ও প্রভাব বিস্তারসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। তাদের এমন কার্যকলাপে কেউ বাধা দিলে তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। গত ৩১ মার্চ সকাল ১০টায় এই লাঠিয়াল বাহিনীর অন্যতম নেতা সাজু মিয়াসহ তিন-চার জন স্বজনগ্রাম এলাকার একটি রাস্তার পাশ থেকে মাটি কেটে তাদের নিজের জমিতে ভরাট করছিল। তখন সাজুকে একই এলাকায় বসবাসকারী রুকন উদ্দিন ও তার ভাই আশরাফ উদ্দিন বলেন, এভাবে মাটি কাটলে রাস্তার ক্ষতি হবে। এ কথায় উত্তেজিত হয়ে সাজু ও মফিজসহ কয়েকজন কোদাল নিয়ে রুকন উদ্দিন ও আশরাফ উদ্দিনের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।




একই দিন বিকাল চারটায় সাজু, মফিজ ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য রামদা, ফিকল, কুচারশলা, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে রুকন উদ্দিনের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে রুকন উদ্দিন বাসা থেকে বেরিয়ে এলে সাজু ও মফিজসহ অন্যরা রামদা, ফিকল, কুচারশলা, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রুকনকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্বজনরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় রুকনকে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রুকনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে স্বজনরা রুকনকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গত ৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রুকন উদ্দিনের ছেলে আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে লাখাই থানায় সাজু, সাদির ও মফিজসহ ২০ জন এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাজু মিয়া (৫০), ছাদির মিয়া (৬০), আ. রহিম (৪৮), মফিজ মিয়া (৪২), সিজান মিয়া (৪২), শুকুর মিয়া (৩৯), সালাহ উদ্দিন (৩০), আকাশ মিয়া (২৮), হাদিছ মিয়া (২২) ও নিজাম উদ্দিন (৪৫)। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।


আরও পড়ুন.....

১. কুষ্টিয়ায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে পড়লো খাদে।

২. টাঙ্গাইলে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কা: পুলিশ কনস্টেবল নিহত।

৩. পিরিয়ড হওয়ায় ১২ বচরেরে বোনকে ৩ দিন ধরে পিটিয়ে হত্যা।

৪. প্রাথমিক স্কুলে চালু হচ্ছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা।

৫. কুমিল্লা যুবলীগ নেতা হত্যা, মৃত্যুদণ্ড ৯ জনকে ও যাবজ্জীবন ৯ জনকে দেয় আদালত ।

৬. স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী সহ চারজন গ্রেপ্তার । 






গ্রেফতার, যাত্রাবাড়ী, হত্যা মামলা, আসামী



Post a Comment

0 Comments